কম্পিউটারে বাংলা লিখার সফটওয়্যার বিজয় ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহারের আহবান জানিয়ে এখানে কিছু যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। যেমনঃ কীবোর্ড লেয়াউট সম্পাদনের মাধ্যমে অভ্র দিয়ে বিজয় লেয়াউট ব্যবহার; বিজয়ের লাইসেন্স, পোর্টেবিলিটি ও বিবিধ সমস্যা; অভ্র'র লিনাক্স, ফোরাম ও ইউনিকোড সুবিধা; ইত্যাদি। এ থেকে বোঝা যায়, বিজয় সফটওয়্যার ছেড়ে অভ্র ব্যবহার করা যৌক্তিক।
অভ্র কীবোর্ড
যে কোনো ব্যক্তির পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে যে কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করার। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। যারা অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তারা এটি ব্যবহার করে খুব সন্তুষ্ট। বিনামূল্যে এত ভালো সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্যে অভ্র টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ অভ্র'র প্রচার করা হয়। কেননা, ঐ ব্যক্তি পরিপূর্ণ মানুষ নয় যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের জন্যে যা ভালো মনে করে, তা অন্য মানুষের জন্যে ভালো মনে না করে। তাই অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারের গুণাবলী ও বিজয় সফটওয়্যারের ত্রুটি উল্লেখ করে, অভ্র ব্যবহারের অনুরোধ রাখা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনি যদি ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন বা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করেন, তবে এই লেখাটি আপনার জন্যে নয়।
যে কোনো ব্যক্তির পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে যে কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করার। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। যারা অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তারা এটি ব্যবহার করে খুব সন্তুষ্ট। বিনামূল্যে এত ভালো সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্যে অভ্র টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ অভ্র'র প্রচার করা হয়। কেননা, ঐ ব্যক্তি পরিপূর্ণ মানুষ নয় যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের জন্যে যা ভালো মনে করে, তা অন্য মানুষের জন্যে ভালো মনে না করে। তাই অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারের গুণাবলী ও বিজয় সফটওয়্যারের ত্রুটি উল্লেখ করে, অভ্র ব্যবহারের অনুরোধ রাখা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনি যদি ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন বা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করেন, তবে এই লেখাটি আপনার জন্যে নয়।
কীবোর্ড লেয়াউট স্বাধীনতা
অভ্র দিয়ে ইচ্ছে মত যে কোনো কীবোর্ড লেয়াউট বানানো ও সাজানো যায়। অভ্র'র কীবোর্ড সফটওয়্যারের সাথে দেয়া 'Keyboard Layout Editor' প্রোগ্রাম দিয়ে যে কোনো custom কীবোর্ড লেয়াউট নিজের ইচ্ছে মত বানানো যায়। এমনকি, যে কীবোর্ড লেয়াউটগুলো বর্তমানে কম্পিউটারে আছে (যেমনঃ বর্ণনা, প্রভাত, জাতীয় ইত্যাদি), সেগুলোকে পুনোর্বিন্যাস করা যায়। এই সব custom কীবোর্ড লেয়াউট গুলোকে ইচ্ছে মাফিক নাম দিয়ে সংরক্ষণ করে, যে কোনো কম্পিউটারের সাথে কপি/শেয়ার করে ব্যবহার করা যায়। তাই, অভ্র দিয়ে কীবোর্ডের বোতামগুলোতে বাংলা অক্ষরকে বিন্যাস ও পুনোবিন্যাস করা কোনো ঘটনাই না। এমন কি অভ্র কিবোর্ড সফটওয়্যার দিয়ে বিদেশী ভাষার কীবোর্ড লেয়াউট পর্যন্ত বানানো যায়। যেমনঃ জাপানী।
অভ্র দিয়ে ইচ্ছে মত যে কোনো কীবোর্ড লেয়াউট বানানো ও সাজানো যায়। অভ্র'র কীবোর্ড সফটওয়্যারের সাথে দেয়া 'Keyboard Layout Editor' প্রোগ্রাম দিয়ে যে কোনো custom কীবোর্ড লেয়াউট নিজের ইচ্ছে মত বানানো যায়। এমনকি, যে কীবোর্ড লেয়াউটগুলো বর্তমানে কম্পিউটারে আছে (যেমনঃ বর্ণনা, প্রভাত, জাতীয় ইত্যাদি), সেগুলোকে পুনোর্বিন্যাস করা যায়। এই সব custom কীবোর্ড লেয়াউট গুলোকে ইচ্ছে মাফিক নাম দিয়ে সংরক্ষণ করে, যে কোনো কম্পিউটারের সাথে কপি/শেয়ার করে ব্যবহার করা যায়। তাই, অভ্র দিয়ে কীবোর্ডের বোতামগুলোতে বাংলা অক্ষরকে বিন্যাস ও পুনোবিন্যাস করা কোনো ঘটনাই না। এমন কি অভ্র কিবোর্ড সফটওয়্যার দিয়ে বিদেশী ভাষার কীবোর্ড লেয়াউট পর্যন্ত বানানো যায়। যেমনঃ জাপানী।
অভ্র দিয়ে বিজয় লেয়াউট
যেহেতু অভ্র দিয়ে যে কোনো কীবোর্ড লেয়াউট ব্যবহার করা যায়, তাই বিজয় সফটওয়্যারের সাথে যে বিজয় কীবোর্ড লেয়াউট থাকে সেটাও অভ্র দিয়ে ব্যবহার করা যায়। তার জন্যে প্রয়োজন, কীবোর্ডের বোতাম গুলোতে বাংলা অক্ষরগুলোকে এমন ভাবে সাজানো যেটা বিজয় কীবোর্ড লেয়াউটের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। অভ্র’র সাথে দেয়া 'Keyboard Layout Editor' প্রোগ্রাম দিয়ে তা অতি সহজে করা যায়। এরপর, এভাবে তৈরী কীবোর্ড লেয়াউটকে নতুন নাম দিয়ে উইন্ডজের ‘C:\Program Files\Avro Keyboard\Keyboard Layouts' ফোল্ডারে সংরক্ষণ করা হলে, তা অভ্র দিয়ে ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে। এখান থেকে এরকম একটি বিজয় কীবোর্ড লেয়াউট ডাউনলোড করা যাবে।
অনেকে ইউনিবিজয় কীবোর্ড লেয়াউটের কথা জানেন। এটি অভ্র’র তৈরী করা একটি লেয়াউট যা বিজয়ের সাথে শুধু ৮টি কী’তে পার্থক্য রয়েছে। বাস্তব উদাহরণ থেকে দেখা গেছে, যারা বিজয় সফটওয়্যার ছেড়ে অভ্র ব্যবহার শুরু করেছেন, তারা খুব সহজেই ইউনিবিজয় কীবোর্ড লেয়াউট ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ইউনিবিজয় কীবোর্ড লেয়াউট ডাউনলোড করে, উপরে উল্লেখিত ফোল্ডারে স্থাপন করে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্যে অভ্র দিয়ে লিখা শুরু করতে কোনো ঝামেলা নেই। তাদের অভ্যস্ত লেয়াউট দিয়েই অভ্র সফটওয়্যারের সাহায্যে বাংলা টাইপ করা যায়।
যেহেতু অভ্র দিয়ে যে কোনো কীবোর্ড লেয়াউট ব্যবহার করা যায়, তাই বিজয় সফটওয়্যারের সাথে যে বিজয় কীবোর্ড লেয়াউট থাকে সেটাও অভ্র দিয়ে ব্যবহার করা যায়। তার জন্যে প্রয়োজন, কীবোর্ডের বোতাম গুলোতে বাংলা অক্ষরগুলোকে এমন ভাবে সাজানো যেটা বিজয় কীবোর্ড লেয়াউটের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। অভ্র’র সাথে দেয়া 'Keyboard Layout Editor' প্রোগ্রাম দিয়ে তা অতি সহজে করা যায়। এরপর, এভাবে তৈরী কীবোর্ড লেয়াউটকে নতুন নাম দিয়ে উইন্ডজের ‘C:\Program Files\Avro Keyboard\Keyboard Layouts' ফোল্ডারে সংরক্ষণ করা হলে, তা অভ্র দিয়ে ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে। এখান থেকে এরকম একটি বিজয় কীবোর্ড লেয়াউট ডাউনলোড করা যাবে।
অনেকে ইউনিবিজয় কীবোর্ড লেয়াউটের কথা জানেন। এটি অভ্র’র তৈরী করা একটি লেয়াউট যা বিজয়ের সাথে শুধু ৮টি কী’তে পার্থক্য রয়েছে। বাস্তব উদাহরণ থেকে দেখা গেছে, যারা বিজয় সফটওয়্যার ছেড়ে অভ্র ব্যবহার শুরু করেছেন, তারা খুব সহজেই ইউনিবিজয় কীবোর্ড লেয়াউট ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ইউনিবিজয় কীবোর্ড লেয়াউট ডাউনলোড করে, উপরে উল্লেখিত ফোল্ডারে স্থাপন করে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্যে অভ্র দিয়ে লিখা শুরু করতে কোনো ঝামেলা নেই। তাদের অভ্যস্ত লেয়াউট দিয়েই অভ্র সফটওয়্যারের সাহায্যে বাংলা টাইপ করা যায়।
লাইসেন্স
অভ্র হচ্ছে একটি ফ্রীওয়্যার বা ফ্রী সফটওয়্যার। অর্থাৎ, এটাকে ইচ্ছে মত ব্যবহার ও বিতরণ করা যায় বিনামূল্যে। অপর দিকে বিজয় হচ্ছে, ইউলা (EULA-End User License Agreement) লাইসেন্সের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যার শর্ত হচ্ছে – বিজয় সফটওয়্যারের একটি কপি শুধু একটি কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে। এই বিজয় সফটওয়্যার বন্ধুদের সাথে কপি করে শেয়ার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো ব্যক্তি যদি তার ডেস্কটপ ও লেপটপ, এই দুটি কম্পিউটারে বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চায়, তবে তার দুটি লাইসেন্স কিনতে হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ভান্ডার তৈরীর জন্যে ব্যবহৃত লেপটপগুলোতে বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্যে ৫ কোটি টাকা লাইসেন্স ফী দাবী করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন যদি নিজেরা বাংলা টাইপ করার এরকম একটা সফটওয়্যার তৈরী করত, তবে ৫ লাখ টাকাও খরচ হবার কথা না। ওমিক্রন ল্যাবের পক্ষ থেকে মেহদী হাসান খান অভ্র সফটওয়্যারকে সেখানে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দেন।
কোনোভাবে যদি বিজয় সফটওয়্যারের ইন্সটলার সিডিটি (যেমনঃ স্ক্র্যচ পড়ার কারণে) পড়া না যায়, তবে বিজয় কোম্পানি ব্যবহারকারীকে আর একটি সফটওয়্যার সিডি দিবে না। বা কোনো বন্ধু থেকে কপি করে বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে না। কোনো ওয়েব সাইট থেকেও এটা ডাউনলোড করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যদি তার বাংলাদেশে ব্যবহৃত বিজয়ের লাইসেন্স কপি আমেরিকাতে নিয়ে যায় এবং সেখানের অফিস ও বাসার কম্পিউটারে ব্যবহার করতে চায়, সেটা লাইসেন্স মোতাবেক-অনৈতিক। তার জন্যে অবশ্যই আলাদা এবং নতুন করে দুটি লাইসেন্স কিনতে হবে। নয়ত, ব্যবহারকারী কপিরাইট লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত হবে। এটি একটি বড় ব্যপার। কেননা, এই অভিযোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার ভালো উপায় (অভ্র ব্যবহার) থাকার পরও যদি কেউ কপিরাইট লংঘন করে তবে সেটা অমার্জনীয় বলা যায়।
অভ্র হচ্ছে একটি ফ্রীওয়্যার বা ফ্রী সফটওয়্যার। অর্থাৎ, এটাকে ইচ্ছে মত ব্যবহার ও বিতরণ করা যায় বিনামূল্যে। অপর দিকে বিজয় হচ্ছে, ইউলা (EULA-End User License Agreement) লাইসেন্সের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যার শর্ত হচ্ছে – বিজয় সফটওয়্যারের একটি কপি শুধু একটি কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে। এই বিজয় সফটওয়্যার বন্ধুদের সাথে কপি করে শেয়ার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো ব্যক্তি যদি তার ডেস্কটপ ও লেপটপ, এই দুটি কম্পিউটারে বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চায়, তবে তার দুটি লাইসেন্স কিনতে হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ভান্ডার তৈরীর জন্যে ব্যবহৃত লেপটপগুলোতে বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্যে ৫ কোটি টাকা লাইসেন্স ফী দাবী করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন যদি নিজেরা বাংলা টাইপ করার এরকম একটা সফটওয়্যার তৈরী করত, তবে ৫ লাখ টাকাও খরচ হবার কথা না। ওমিক্রন ল্যাবের পক্ষ থেকে মেহদী হাসান খান অভ্র সফটওয়্যারকে সেখানে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দেন।
কোনোভাবে যদি বিজয় সফটওয়্যারের ইন্সটলার সিডিটি (যেমনঃ স্ক্র্যচ পড়ার কারণে) পড়া না যায়, তবে বিজয় কোম্পানি ব্যবহারকারীকে আর একটি সফটওয়্যার সিডি দিবে না। বা কোনো বন্ধু থেকে কপি করে বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে না। কোনো ওয়েব সাইট থেকেও এটা ডাউনলোড করা যায় না। কোনো ব্যক্তি যদি তার বাংলাদেশে ব্যবহৃত বিজয়ের লাইসেন্স কপি আমেরিকাতে নিয়ে যায় এবং সেখানের অফিস ও বাসার কম্পিউটারে ব্যবহার করতে চায়, সেটা লাইসেন্স মোতাবেক-অনৈতিক। তার জন্যে অবশ্যই আলাদা এবং নতুন করে দুটি লাইসেন্স কিনতে হবে। নয়ত, ব্যবহারকারী কপিরাইট লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত হবে। এটি একটি বড় ব্যপার। কেননা, এই অভিযোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার ভালো উপায় (অভ্র ব্যবহার) থাকার পরও যদি কেউ কপিরাইট লংঘন করে তবে সেটা অমার্জনীয় বলা যায়।
পোর্টেবল
অভ্র’র standard edition কে ডেস্কটপ/লেপটপ কম্পিউটারে ইন্সটল করে ব্যবহার করা যায়। আবার portable edition কে ইন্সটল না করে ব্যবহার করা যায়- USB থেকে। এই পোর্টেবল ভার্সনের সাথে বাংলা ফন্টও দেয়া আছে। অর্থাৎ, যে কোনো কম্পিউটারে যে কোনো সময়ে অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনো অসুবিধা নেই। বিজয় ব্যবহার করলে এই সুবিধা নেই। সাইবার ক্যফেতে গেলে বা অন্যদের কম্পিউটারে, যদি বিজয় ইন্সটল করা না থাকে তবে বাংলা লিখা সম্ভব না। অন্য কারো লাইসেন্স করা কপি সেখানে ইন্সটল করা যাবে না, কারণ সেটা বিজয় লাইসেন্সে অনুমোদিত নয়।
বিজয় সফটওয়্যারের পক্ষ থেকে পোর্টেবল ভার্সন বের করার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারন, প্রোপ্রাইটরি সফটওয়্যারের মূলনীতি হচ্ছে, প্রত্যেকটি কম্পিউটারের জন্যে আলাদা লাইসেন্স ফী। তাই একবার বিজয় পোর্টেবল ভার্সন কিনে সেটা যে কোনো কম্পিউটারে ব্যবহার করা কল্পনাও করা যায় না।
অভ্র’র standard edition কে ডেস্কটপ/লেপটপ কম্পিউটারে ইন্সটল করে ব্যবহার করা যায়। আবার portable edition কে ইন্সটল না করে ব্যবহার করা যায়- USB থেকে। এই পোর্টেবল ভার্সনের সাথে বাংলা ফন্টও দেয়া আছে। অর্থাৎ, যে কোনো কম্পিউটারে যে কোনো সময়ে অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনো অসুবিধা নেই। বিজয় ব্যবহার করলে এই সুবিধা নেই। সাইবার ক্যফেতে গেলে বা অন্যদের কম্পিউটারে, যদি বিজয় ইন্সটল করা না থাকে তবে বাংলা লিখা সম্ভব না। অন্য কারো লাইসেন্স করা কপি সেখানে ইন্সটল করা যাবে না, কারণ সেটা বিজয় লাইসেন্সে অনুমোদিত নয়।
বিজয় সফটওয়্যারের পক্ষ থেকে পোর্টেবল ভার্সন বের করার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারন, প্রোপ্রাইটরি সফটওয়্যারের মূলনীতি হচ্ছে, প্রত্যেকটি কম্পিউটারের জন্যে আলাদা লাইসেন্স ফী। তাই একবার বিজয় পোর্টেবল ভার্সন কিনে সেটা যে কোনো কম্পিউটারে ব্যবহার করা কল্পনাও করা যায় না।
ইউনিকোড
অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার প্রথম থেকে ইউনিকোডের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই এটি দিয়ে স্বাচ্ছন্দের সাথে ইউনিকোডে বাংলা লিখা যায়। ফলে, ইমেইলে, ওয়েবপেজে অভ্র দিয়ে বাংলা লিখতে কোনো সমস্যা হয় না বললেই চলে। বিজয় প্রথম থেকে আসকির উপর নির্ভরশীল। পরবর্তীতে ইউনিকোড সমর্থন যুক্ত করা হলেও ইমেইলে, ওয়েবপেজে বিজয় দিয়ে বাংলা লিখতে কিছু সমস্যা দেখা যায়।
অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার প্রথম থেকে ইউনিকোডের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই এটি দিয়ে স্বাচ্ছন্দের সাথে ইউনিকোডে বাংলা লিখা যায়। ফলে, ইমেইলে, ওয়েবপেজে অভ্র দিয়ে বাংলা লিখতে কোনো সমস্যা হয় না বললেই চলে। বিজয় প্রথম থেকে আসকির উপর নির্ভরশীল। পরবর্তীতে ইউনিকোড সমর্থন যুক্ত করা হলেও ইমেইলে, ওয়েবপেজে বিজয় দিয়ে বাংলা লিখতে কিছু সমস্যা দেখা যায়।
ফ্রী আপগ্রেড
অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার যেমন ফ্রী, তেমনি এর যে কোনো নতুন ভার্সনও ফ্রী। কিন্তু, বিজয় সফটওয়্যারের কোনো আপগ্রেড করতে হলে তার জন্যে অবশ্যই টাকা খরচ করতে হয়।
অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার যেমন ফ্রী, তেমনি এর যে কোনো নতুন ভার্সনও ফ্রী। কিন্তু, বিজয় সফটওয়্যারের কোনো আপগ্রেড করতে হলে তার জন্যে অবশ্যই টাকা খরচ করতে হয়।
বিজয় সমস্যা
বিজয় সফটওয়্যারের অনেক ত্রুটি সুবিধিত। যেমনঃ প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে যাওয়া, অক্ষর (বিশেষ করে যুক্তাক্ষর) ভেংগে যাওয়া, উইন্ডজের সাথে বা অন্য এপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সাথে সাংঘর্ষিক আচরণ ইত্যাদি।
বিজয় সফটওয়্যারের অনেক ত্রুটি সুবিধিত। যেমনঃ প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে যাওয়া, অক্ষর (বিশেষ করে যুক্তাক্ষর) ভেংগে যাওয়া, উইন্ডজের সাথে বা অন্য এপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সাথে সাংঘর্ষিক আচরণ ইত্যাদি।
ফোরাম
অভ্র’র রয়েছে একটি শক্তিশালী ব্যবহার গোষ্টি যারা অমিক্রণ ল্যাবের ফোরামের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে। সেখানে যে কোনো ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে পারে। কখনো কিছু জানার থাকলে, তা প্রশ্ন করতে পারে। অমিক্রণ ল্যাবের সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত থাকতে পারে। অভ্র কীবোর্ডের উন্নয়ন/পরিবর্তন/পরিবর্ধনের জন্যে নতুন ফিচারের পরামর্শ দিতে পারে। বিজয়ের ক্ষেত্রে এরকম কিছু নেই।
অভ্র’র রয়েছে একটি শক্তিশালী ব্যবহার গোষ্টি যারা অমিক্রণ ল্যাবের ফোরামের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে। সেখানে যে কোনো ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে পারে। কখনো কিছু জানার থাকলে, তা প্রশ্ন করতে পারে। অমিক্রণ ল্যাবের সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত থাকতে পারে। অভ্র কীবোর্ডের উন্নয়ন/পরিবর্তন/পরিবর্ধনের জন্যে নতুন ফিচারের পরামর্শ দিতে পারে। বিজয়ের ক্ষেত্রে এরকম কিছু নেই।
লিনাক্স
অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারের লিনাক্স ভার্সন রয়েছে। অর্থাৎ, লিনাক্স বেজড যে সব অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে (যেমনঃ লিনাক্স-মিন্ট, ডেবিয়ান, উবুন্তু ইত্যাদি), সেগুলোতে অভ্র কীবোর্ড ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। বিজয় কীবোর্ডের কোনো লিনাক্স ভার্সন নেই।
অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারের লিনাক্স ভার্সন রয়েছে। অর্থাৎ, লিনাক্স বেজড যে সব অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে (যেমনঃ লিনাক্স-মিন্ট, ডেবিয়ান, উবুন্তু ইত্যাদি), সেগুলোতে অভ্র কীবোর্ড ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। বিজয় কীবোর্ডের কোনো লিনাক্স ভার্সন নেই।
উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায়, বাংলা টাইপ করার জন্য অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার অতুলনীয়। তাই বিজয় ব্যবহারকারীদেরকে অভ্র ব্যবহার শুরু করার আহবান রইল। আসুন একে ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে।
-------
এই ব্লগটি অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার দিয়ে লেখা। অভ্র হোক সর্বত্র
(এই লেখাটি ৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ইং সচলায়তনে প্রকাশিত হয়েছিল। সংরক্ষণের জন্যে ব্যক্তিগত ব্লগে পোষ্ট)